নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৭ নভেম্বর, ২০২১ ৪:২৫ : অপরাহ্ণ
সরকার ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে ২৩ শতাংশ। কিন্তু গণপরিবহন মালিকরা প্রতি কিলোমিটারে বাসের ভাড়া ৪০ শতাংশের বেশি বাড়াতে চান।
আজ রোববার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে ভাড়া পুনর্নির্ধারণের বৈঠকে পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা এ প্রস্তাব দেন।
বৈঠকে পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে মহানগরে বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৪১ শতাংশ বাড়িয়ে ২ টাকা ৪০ পয়সা এবং মিনিবাসে ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ২ টাকা ৪০ পয়সা করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া দূরপাল্লার বাস ভাড়া ৪১ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকা করার দাবি তুলেছেন পরিবহন মালিকরা।
সবশেষ ২০১৫ সালে নগর পরিবহনে বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং মিনিবাসের জন্য ১ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। আর ২০১৬ সালে দূরপাল্লায় ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ১ টাকা ৪২ পয়সা।
বৈঠক শুরুর আগে পরিবহন নেতারা জানান, ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর বিষয়টি একেবারেই অযৌক্তিক। এতে পরিবহনের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। মালিকদের লোকসান গুনতে হবে। বিপুল পরিমাণ লোকসান দিয়ে বাঁচানো সম্ভব না। এজন্যই আমরা বাসভাড়া বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছি। তেলের দাম না বাড়ালে আমরা ভাড়া বাড়ানোর আবেদন করতাম না। ভাড়া না বাড়ানো হলে বাস মালিকরা বাস চালাবেন না।
গত বুধবার সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা এবং বৃহস্পতিবার এলপি গ্যাসের দাম প্রতি কেজির সিলিন্ডারে ৫৪ টাকা করে বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএকে চিঠি দিয়েছিল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
একই সঙ্গে শুক্রবার থেকে শুরু হয় গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন ধর্মঘট। শনিবার দুপুরের পর থেকে শুরু হয় লঞ্চ ধর্মঘটও। এতে কার্যত অচল হয়ে যায় গোটা দেশ। চরম দুর্ভোগে পড়ে মানুষ।