রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৬ আগস্ট, ২০২১ ১১:১৫ : পূর্বাহ্ণ
বাজারে থরে থরে সাজানো বিভিন্ন প্রজাতির আম দেখেই কিনতে ইচ্ছে করে। কিন্তু জানেন কি, অনেক আমই রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করা হয়?
আম ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ গাছ থেকে আম পাড়ার পর দ্রুত পাকানোর কাজে ফ্লোরা নামের এক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করছেন।
আম ব্যবসায়ীরা জানান, আমের রং ভাল না হলে দাম পাওয়া যায় না তাই গাছ থেকে আম পাড়ার আগে এন্টাকল ও নইন নামের ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। তবে তারা এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানেন না বলে দাবি করেন।
‘সায়ানাইড’ দিয়েও আম পাকানো হয়। দীর্ঘদিন রেখে বিক্রির জন্য সে আমে মেশানো হয় ফরমালিন। এই দুটি কেমিক্যালেই মানবদেহে মরণব্যাধি ক্যান্সার হওয়ার আশংকা শতভাগ।
অনেক ক্ষেত্রেই সময়ের আগে গাছ থেকে আম পেরে কার্বাইড দিয়ে পাকিয়ে তবে বাজারে পাঠানো হয়। কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খাওয়ার সময় ঝাঁঝালো স্বাদ অনুভব করবেন। এই আম খেলে পেট ব্যথা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
কয়েকটি সহজ বিষয় খেয়াল করলেই ধরতে পারবেন সেই আম গাছ পাকা নাকি কার্বাইড দিয়ে পাকানো?
কৃত্রিম রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমের গায়ে হলুদ রঙের মাঝে মাঝে সবুজ ছাপ দেখতে পাবেন। স্বাভাবিক ভাবে পাকা আমের রং নিখুঁত হলুদ হয়। হিমসাগর সহ আরও বেশ কিছু জাতের আম পাকলেও সবুজ থাকে। গাছপাকা হলে এসব আমের ত্বকে কালো কালো দাগ পড়ে। রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হলে আমের ত্বক হয় মসৃণ ও সুন্দর।
গাছপাকা আমের ত্বকে দাগ থাকে। রাসায়নিকে পাকানো আমের ত্বক হয় দাগহীন। কারণ কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফর্মালিন ও কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়।স্বাভাবিক ভাবে পাকা আম রসালো হয়। কিন্তু কৃত্রিম ভাবে পাকা আমে রসে থাকে না।বাজারে থরে থরে সাজানো আমে দেখুন কোনগুলোতে মাছি বসছে। গাছ পাকা আমে মাছি ভনভন করবেই। কার্বাইটে পাকানো আমে মাছি বসবেই না।
কাঁচা অবস্থায় আম থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ও ফর্মালিন দূর করে নিতে পানির কল ছেড়ে তার নিচে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দেওয়া। এর ফলে আস্তে আস্তে খাদ্য থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক এর প্রভাব কমতে থাকবে।
কারণ, কাঁচা সবজি ও ফলের ত্বকে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে। পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ফর্মালিন আরও ভালোভাবে খাবারে মিশে যেতে পারে। কিন্তু পানির কলের নিচে রাখলে সেটা ভেতরে না ঢুকে পানির চাপে বাইরে বেরিয়ে যাবে।
ভিনেগার ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০% আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯৮ % ভাগ রাসায়নিক দ্রব্য দূর হয়।