শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৮ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা রাজধানী

যতোই দিন গড়াচ্ছে, কঠোর লকডাউন ততোই ঢিলেঢালা হচ্ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৭ জুলাই, ২০২১ ২:২৫ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের আজ পঞ্চম দিন। লকডাউনের প্রথম কয়েক দিন সড়কে মানুষের উপস্থিতি ও গাড়ির সংখ্যা কম থাকলেও আজ (২৭ জুলাই) মঙ্গলবার দেখা গেছে এর উল্টো চিত্র। সড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ আর মানুষের ভিড়। দিন যতোই গড়াচ্ছে, কঠোর লকডাউন ততোই ঢিলেঢালা হচ্ছে।

রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা, অটোরিকশা, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত গাড়ি। নানা অজুহাত দেখিয়ে মানুষ ছুটছে যেখানে-সেখানে। মানুষ নানা কৌশলে পুলিশের চেকপোস্ট পেরিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করছেন। রাজধানীর প্রতিটি সড়কেই দেখা গেছে, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ। পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে লেগে যাচ্ছে যানজট। যানবাহনের পাশাপাশি অলিগলি, ফুটপাথ ও সড়কে মানুষের চলাচলও বাড়ছে। পুলিশের কড়াকড়িতে অনেকটা ঢিলেঢালা ভাব থাকায় তারা নির্ভয়ে বের হচ্ছেন।

সকাল থেকে রাজধানীর মালিবাগ, রামপুরা, সায়েদাবাদ, গাবতলী, শ্যামলী, আসাদগেট, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ধানমন্ডি, মগবাজার, কাকরাইল, পল্টন, মতিঝিল ও বাড্ডা এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকার কথা থাকলেও এ সময় কিছু অফিস খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ফলে গত রোববার থেকে সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

লকডাউনে সড়কে রিকশার দাপট

দেখা গেছে, সড়কে হাজার হাজার মানুষ, রিকসা, মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের ব্যাপক ভিড়। অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেল চালকরা এখন আর নিষেধাজ্ঞা মানছেন না। তারা কেউ কেউ যাত্রী নিয়ে ছুটছেন, আবার কেউ কেউ যাত্রীর অপেক্ষায় বসে আছেন। ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক তল্লাশির ফলে চেকপোস্টগুলোয় গাড়ির জটলা সৃষ্টি হয়েছে। তবুও পুলিশ প্রতিটি গাড়ির যাত্রীদের তল্লাশি করছে। যারা অযথা বাইরে বের হয়েছেন বা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারছেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। জীবিকার তাগিদে অনেকেই পাড়া-মহল্লায় ছোট দোকানগুলো খুলেছে।

চেক পোস্টে দায়িত্বরত কর্মকর্তা রমনা ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম বলেন, মানুষ যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন অধিকাংশরাই কোনো না কোনো প্রয়োজনে বের হচ্ছেন। দেখা গেছে, অনেকেই আর্থিক কাজে যাচ্ছেন, রোগী দেখতে যাচ্ছেন, টিকা নিতে যাচ্ছেন, বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ি আসছে। আমরা চেষ্টা করছি, অন্তত কেউ যেন অযথা ঘর থেকে বের না হয়। যাদের কথায় সন্তুষ্ট হচ্ছি না বা কারণ যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত ১৩ জুন লকডাউন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ঈদের কারণে ওই আদেশে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। এরপর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে নতুন করে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর