শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৯ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা খেলা

পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে, সৌম্য-নাঈমের ব্যাটে দাপুটে জয়


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২২ জুলাই, ২০২১ ৮:২৩ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

টার্গেটটা ছিলো মাঝারি মানের। তবে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর মোহাম্মদ নাঈম শেখ মিলে সেটাকে বানিয়ে ফেললেন মামুলি। না, ধুমধাড়াক্কা ব্যাট চালাননি তারা। স্রেফ ঠান্ডা মাথায় বড় একটা জুটি গড়ে দিয়েছেন। ফলে নির্বিঘ্নে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

নিজেদের ক্রিকেটের ইতিহাসে শততম টেস্ট এবং শততম ওয়ানডে ম্যাচে জয়ী টাইগাররা এবার টি-টোয়েন্টি শততম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়ে এক অনন্য নজির গড়েছে।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৫২ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ৭ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় টাইগাররা।

আজ টাইগাররা বোলিং ফিল্ডিং এবং ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে প্রদর্শন করে ম্যাচ জিতে নেয়। টস জিতে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেননি তা দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান এর প্রমাণ করেন।

মূলত টাইগারদের ওপেনিং জুটির কাছেই হেরে গেছে আফ্রিকানরা। সৌম্য আর নাঈম মিলে ১৩.১ ওভারে এনে দেন ১০২ রান।

সৌম্য-নাঈম

দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। ওয়ানডে সিরিজের দলে থাকলেও খেলা হয়নি নাঈম শেখের। তবে টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন দু’জনই।

ইনজুরির কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলেই দেশে ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল। অন্যদিকে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়ায় নিয়মিত ওপেনার লিটন দাসও নামেননি। ফলে ওপেন করতে নামেন সৌম্য ও নাঈম।

শুরুতে কিছুটা ধীরস্থির থাকলেও, সময় গড়াতেই খোলস ছেড়ে বের হন তারা। শুরু করেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের আক্রমন। এরইমধ্যে দু’জন মিলে দলকে সেঞ্চুরি জুটি উপহার দিয়েছেন। ফিফটি তুলে নিয়েছেন সৌম্য সরকার।

তবে ফিফটি করার পরপরই রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য। ৪৫ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে তিনি করেন ৫০ রান। এর ফলে ৫ম বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে তিনি করলেন ১ হাজার রান।

৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে রানআউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনিও। তার সংগ্রহ ১৫ রান।

অন্যপ্রান্তে অবিচল নাঈম শেখ। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ততক্ষণে তার নামের পাশে যোগ হয়েছে ৬৬ রান (৫১ বল)। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সোহান অপরাজিত ছিলেন ১৬ রান (৮ বল) করে।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৫৩ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। দুর্দান্ত শুরুর পরও, টাইগার বোলারদের তোপের মুখে ১৫২ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

হারারেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১০ রানে ওপেনার মারুমানিকে হারায় জিম্বাবুয়ে। তবে ২য় উইকেটে মাত্র ৬.২ ওভারে ৬৪ রান যোগ করেন মাধভেরে ও রেজিস চাকাভা।

ধভেরেকে ফেরান সাকিব। দুর্দান্ত খেলতে থাকা চাকাভা কিছুক্ষণ পরই রানআউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৪৩ রান।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ডিয়ন মেয়ার্স খেলেন ২২ বলে ৩৫ রানের একটি ইনিংস। কিন্তু অন্যরা একের পর এক ফেরার মিছিলে যোগ দেন। ফলে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা দেখালেও, ১ ওভার বাকি থাকতেই ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। মুস্তাফিজ নেন ৩টি উইকেট। সাইফউদ্দিন ও শরিফুল নেন ২টি করে উইকেট।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর