ঈদের পর লকডাউনে সব ধরনের শিল্পকারখানাও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু লকডাউনের সময় শিল্পকারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে শিল্প মালিকরা। এ বিষয়ে শনিবার (১৭ জুলাই) সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল এ দাবি জানান। এ সময় কারখানা খোলা রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন তারা।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, কঠোর লকডাউন চলতে থাকলে শিল্পখাতে ধস নামবে। সব শিল্প কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত হলে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প সমস্যায় পড়বে।
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস লকডাউনের আওতামুক্ত রাখতে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
বিকেএমইএ’র সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে কারখানা খোলা রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি আমরা। সচিব আমাদের আশ্বস্ত করছেন, তিনি আমাদের চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ টেরিটাওলে অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরকার কঠোর লকডাউন জারি করলেও রপ্তানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা উৎপাদন চালু রাখার সুযোগ পায়। সর্বশেষ গত ২৮ জুন শুরু হওয়া সীমিত ও পরে ১লা জুলাই শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা চালু ছিল।
তবে গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদের পর কঠোর লকডাউনে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পোশাকশিল্পের মালিকরা।