সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

একের পর এক ভাঙছে রেকর্ড, একদিনে ২১২ জনের মৃত্যু


নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ জুলাই, ২০২১ ৫:৩০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

ভাঙছে একের পর এক পেছনের রেকর্ড। প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছে কেউ না কেউ। দিন দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এপর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। এর আগে গত বুধবার সর্বোচ্চ ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৩২৪ জনের। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ১১ হাজার ৬৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।

আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ হাজার ৫৮৬ জনের জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এ পর্যন্ত দেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৫৪৩ জনে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৪ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১২ জনের মধ্যে ৫৩ জনই ঢাকার। এছাড়া খুলনায় ৭৯, চট্টগ্রামে ২৬, রাজশাহীতে ২৩, বরিশালে ৫, সিলেটে ৬, রংপুরে ১২ এবং ময়মনসিংহে ৮ জন মারা গেছেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ এবং ৯৩ জন নারী।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯০ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫৬, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪০, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৭, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ২ জন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরও বাড়িয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখন সংক্রমণ পরিস্থিতি এপ্রিলের মতো ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর