ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনি বলেছেন, ‘আপনার কিভাবে দেখছেন আমি জানি না। আমরা তো মিডিয়ার মানুষ নিজেরা গল্প বানাই। আমি বাসা থেকে বের হওয়ার সময় কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আসলে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। আমি নিজে নিজেই এসেছি।’
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তের জন্য কথা বলতে আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে তিনি সন্ধ্যা ৬টার দিকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
পরীমনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর আমি নিজেকে সতেজ অনুভব করছি। আমার আশপাশে যারা ছিল তারা আমাকে শ্বান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাকে যে কাজে ফিরতে হবে, আমার এই শক্তিটা তারা এতক্ষণে যুগিয়েছেন। অনেকক্ষণ ধরে আমার কাজ নিয়ে কথা বলছে, আমার নরমাল লাইফে আমি কিভাবে ফিরে যাবো, আমি এতটা তাদের কাছ থেকে আশা করিনি। তারা এতটা বন্ধুসুলভ, আসলে একটা ম্যাজিকের মতো হয়ে গেছে।’
ডিবি উত্তর বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদের প্রশংসা করে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘হারুন স্যার ম্যাজিকের মতো কয়েক ঘণ্টার মধ্যে করে ফেলেছেন। ঘুমিয়ে মানুষ জাগে সকালে, কিন্তু সেই সুযোগটা আমি পাইনি। ঘুমানোর আমি টাইম পাইনি। তার আগে এত দ্রুত কাজ হয়ে গেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমি সঠিক বিচারটা পাব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরীমনি বলেন, ‘আমি কখনও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। আমি আইজিপি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। আমার আশা ছিল তিনি জানতে পারলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। তিনি যখন জানতে পেরেছেন তখন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছেন।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন উর রশিদ বলেন, ‘পরীমনি ধন্যবাদ জানাতে এসেছিলেন। পুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দেশে মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলার শেষ পর্যন্ত পুলিশ সহযোগিতা করে যাবে।’
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পরীমনি সোমবার সাভার থানায় একটি মামলা করেন। সেদিন বিকেলে ডিবি পুলিশ মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে।