নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৩ জুন, ২০২১ ৪:৩০ : অপরাহ্ণ
২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটে কিছু পণ্যের করহার কমানো হয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
দেশি এলপিজি সিলিন্ডার: দেশে এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
দেশীয় টাইলস- কাঁচামালের সম্পূরক শুল্ক তুলে দেওয়ার কারণে দেশীয় টাইলসের দাম কমবে।
ইস্পাত: ইস্পাতের ওপর সুনির্দিষ্ট শুল্ক টনপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
ক্যানসারের ওষুধ: ক্যানসারের ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামালে আবার শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার। এতে ক্যানসারের ওষুধ উৎপাদনে ব্যয় কমবে। এ ছাড়া ওষুধ শিল্পের আরও কিছু কাঁচামালে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।
মুরগি/মাছের খাবার: উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতে মুরগি, মাছ ও গবাদিপশুর খাবারের দাম কমানোর সুযোগ তৈরি হবে।
দেশীয় মোটরসাইকেল ও ওয়াশিং মেশিন: মোটরসাইকেলের যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াত সুবিধায় কমবে দেশীয় মোটরসাইকেলের দাম।
কম্পিউটার: কম্পিউটার যন্ত্রাংশের আমদানিতে শুল্ক কমানোর কারণে দাম কমবে।
মুড়ি: উৎপাদন পর্যায়ে মুড়ির ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাই প্যাকেটজাত মুড়ির দাম কমতে পারে।
তাজা ফল: ব্যবসায়ী পর্যায়ে ফলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই ফলের দাম কমতে পারে।
কৃষি যন্ত্রপাতি: বাজেটে ইউডার (নিড়ানি) ও উইনোয়ারের (ঝাড়াইকল) উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। থ্রেসার মেশিন, পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার, অপারেটেড সিডার, কম্বাইন হারভেস্টর, রোটারি টিলার, নিড়ানি ও ঝাড়াইকলের আমদানি পর্যায়ের আগাম কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
মাইক্রোবাস: সিসিভেদে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। হাইব্রিড গাড়ির সম্পূরক শুল্কে কমানো হয়েছে। তাই জ্বালানি বান্ধব গাড়ির দাম কমতে পারে।
আরও যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে:
ওয়াশিং মেশিন, অপরিশোধিত-পরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেল, ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার এবং প্রেসার কুকারের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
এছাড়া সিমেন্ট, সূর্যমুখী বীজ, তুলা বীজ, প্রাণিজ তেল, পশুপাখির ওষুধ এবং উচ্চ প্রোটিন দানাদার উদ্ভিদের দাম কমতে পারে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত যে সব পণ্যের দাম কমবে সেগুলো হলো- করোনা টেস্টিং কিট, পিপিই, মাস্ক, টেফলন টিউব, সিলিকন টিউব, সুই ক্যানুলার হাবস এবং ক্যাপস।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্পিনিং মিলে ব্যবহৃত পেপার কোনের ওপর বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর প্রযোজ্য সমুদয় ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার উৎপাদনের লক্ষ্যে কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দুই বছর জন্য বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাজেটে শুল্ক-করের প্রস্তাব ঘোষণার পরই কার্যকর হয়।