বাংলাদেশ থেকে কেউ ইসরায়েলে গেলে তাকে শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ বুধবার (২৬ মে) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত ফিলিস্তিনিদের ওষুধ-সামগ্রী উপহার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকার করে না বাংলাদেশ। ইসরাইলকে আমরা স্বীকৃতি দিইনি এবং দেওয়ার কোনো ইচ্ছাও আমাদের নেই।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ফিলিস্তিন আমাদের পুরনো বন্ধু। বাংলাদেশের জন্মের শুরু থেকেই আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে যাচ্ছি। আমাদের জাতির পিতা সেই সময় নির্বর্তিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। কয়েকটি গণমাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছে যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, আমরা নতুন ই-পাসপোর্ট দেওয়া শুরু করেছি। প্রশাসনিক কারণে সেখান থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শব্দ দুটি ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পাসপোর্ট একটি পরিচয় মাত্র। পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। বঙ্গবন্ধুর সময়ে যে পররাষ্ট্রনীতি ছিল এখনও তা রয়েছে। আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিইনি। ১৯৭২ সালেই বাংলাদেশের কাছ থেকে ইসরায়েল স্বীকৃতি চেয়েছিল। কিন্তু, বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃতি দেয়নি। এখনো আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিইনি। কোনো বাংলাদেশি যদি ইসরাইল সফর করেন, তবে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’
অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল এবং আছে। সম্প্রতি এই সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশিরা আমাদের জন্য অনেক সহায়তা দিয়েছে।’