রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২০ মে, ২০২১ ৯:০১ : অপরাহ্ণ
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে বিয়ে বাড়িতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের শোলদি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন-সিদ্দিকুর রহমান (৩০) ও ছত্তার ঢালী (৫৫)। দুজনেরই বাড়ি শোলদি গ্রামে।
ছত্তার ঢালী মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজসেবা সম্পাদক জামাল ঢালীর বড় ভাই। সিদ্দিকুর ওই গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। এর মধ্যে সিদ্দিকুর ঘটনাস্থলে এবং ছত্তার ঢালী চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেওয়ার পথে মারা যান। তারা দুজনই স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম মোল্লার সমর্থক।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, স্থগিত হওয়া উত্তর উলানিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম মোল্লা ওরফে জামাল এবং আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম ওরফে মিঠু চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে আজ সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জেরেই আজ ইউনিয়নের শোলদি গ্রামে একটি বিয়েবাড়িতে দুই পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে শোলদি গ্রামে বর্তমান ইউপি সদস্য রমিজ আলীর মেয়ের ঘরের এক নাতির বিয়ের আয়োজন চলছিল। রমিজ আলী উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য এবং স্থগিত হওয়া নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী ছিলেন। রমিজ আলী ওই ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম মোল্লার সমর্থক। এ জন্য বিয়ের যাবতীয় আয়োজন ও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম মোল্লার সমর্থকেরাই।
রমিজ আলীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কালাম ব্যাপারী ও সুমন ব্যাপারীর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিয়েবাড়িতে হামলা করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে চলাকালে সিদ্দিকুর রহমানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার পর তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হন আরও চারজন।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বরিশালে নেওয়ার পথে আরেকজন মারা গেছেন। তবে কতজন আহত হয়েছেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।