রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা স্বাস্থ্য

গণমাধ্যম ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের প্রতি বিষোদগার করলেন স্বাস্থ্যের ডিজি



নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৪ এপ্রিল, ২০২১ ২:০০ : অপরাহ্ণ

কোভিড চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা করায় গণমাধ্যম এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।

আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সমালোচনা আমাদের মনোবল ভেঙ্গে দিচ্ছে।’

অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, ‘কিছু কিছু পত্রপত্রিকা আমাদের এমনভাবে সমালোচনা করছেন যেটা আমাদের মনোবলকে ভেঙ্গে দিচ্ছে। আপনারা গঠনমূলক সমালোচনা করবেন, আমাদেরকে পথ দেখাবেন, আমরা আমাদের শুদ্ধ করবো। বিরূপ সমালোচনা করলে আমাদের মনোবল ভেঙ্গে যাবে।’

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কড়া ভাষায় সমালোচনা করে অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, ‘তারা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একদিনও রোগীর পাশে দাঁড়াননি। এই সরকারেরই চাকরি করেছেন আপনারা। এই সরকারেরই সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। আজকে আপনি রিটায়ারমেন্টে গেছেন, তার মানে এই না যে আপনি আপনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়ে গেছেন। আপনি এমন কথা বলতে পারেন না, যে কাজটা আপনি করতেন আগে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রশ্ন তোলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা যখন সরকারি দায়িত্বে ছিলেন তখন তারা কী করেছিলেন? তারা এখন টেলিভিশনে বসে টক-শোতে লম্বা-লম্বা কথা বলেন। আমাদের হাসপাতালে চলুন, হাসপাতালে রোগীর পাশে দাঁড়ান। সেটা না করে ঐ নিরাপদ বাক্সের মধ্যে বসে এই টেলিভিশন থেকে ঐ টেলিভিশনে গিয়ে নানান ধরণের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। টেলিভিশনের নিরাপদ বাক্সে না থেকে বেরিয়ে আসুন।’

সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয় যে, সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত বসুন্ধরা গ্রুপের হাসপাতাল ‘উধাও’ হয়ে গেছে, এবং এই খবরের জের ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এরই মধ্যে কড়া সমালোচনা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও এই সংবাদে আপত্তি জানিয়ে ও ব্যাখ্যা দিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় বড়সড় বিজ্ঞাপন ছেপেছে।

হাসপাতাল ‘উধাও’ সংক্রান্ত সমালোচনা প্রসঙ্গে অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, ‘’উধাও’ শব্দটার মধ্যে অপমানজনক ব্যাখ্যা আছে।’

তিনি দাবি করেন, বাস্তবতা বিবেচনা করে সে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং সেখানকার সরঞ্জামগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টার যখন তৈরি করা হয়, যে পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করা হয়েছিল, সেটি বিদ্যমান ছিল না বিধায় সেখানে অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি ছিল, সারাদেশে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা-উপজেলা এবং বিভিন্ন জায়গায় আমরা সেটা ছড়িয়ে দিয়েছি। একটা টিস্যু বক্সের হিসাব পর্যন্ত আছে।’

অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, ‘বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টারে প্রতিমাসে ৬০ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হতো। এক হাজারের বেশি লোকবল সংশ্লিষ্ট ছিল। কিন্তু প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি রোগী থাকতো না।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর