ফেসবুক পোস্টে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িতে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালে জেলার জিয়ারখি ইউনিয়নের জিয়ারখি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে সাইদুল (৪০) নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া, আহত আরও ৪ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হকের সমর্থক জিয়ারখি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। আজিজুল হকের প্রতিপক্ষ আহসান সরদারের কর্মীরা ওই পোস্টে মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে কমেন্ট করেন। তারা শরীফুল ইসলামকে নরেন্দ্র মোদির সন্তান বলে কটূক্তি করেন। এ ঘটনার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক বলেন, ‘আহসান সরদারের লোকজন হেফাজত নেতা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে আমার লোকদের ওপর হামলা চালায়।’
অপরদিকে আহসান সরদারের দাবি, তাদের লোকদের হেফাজত আখ্যা দেয় আজিজুল হকের লোকজন তার লোকদের বাড়ি-ঘরে হামলা করে। এতে তার পক্ষের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি শওকত কবির বলেন, হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। পুলিশ দুই মামলায় সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
