গত তিন দিনে ব্রাক্ষণবাড়িয়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এজন্য সরকারকে জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে এবং এই রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।
আজ সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হেফাজতে ইসলামের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ করেছি, এই সরকার তার পেটুয়াবাহিনী দিয়ে নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার করেছে, হত্যা করেছে, গ্রেফতার করেছে। আমাদের দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায়সহ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের অনেক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, এইভাবে কখনো একটি দেশ চলতে পারেনা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার খুব পরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের মানুষের যে আশা-ভরশা তা শেষ করে দিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের এই সরকার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করেছে। ভালো কথা। আমরাও চাই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর হোক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিস্তা পানি চুক্তি হয়নি, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে এটা আছে কিনা আমার জানা নেই, শুধুমাত্র বর্ডার ক্রস করার জন্য গুলি করে হত্যা করা হয়। এর জন্য বিচার ব্যবস্থা থাকতে পারে কিন্তু গুলি করে হত্যা করার বিধান আছে বলে আমার জানা নেই।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।