নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি বলেছেন, বাংলাদেশ-নেপালের সম্পর্ক শুরু থেকেই অত্যন্ত নিবিড়। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যে অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জন করেছে তা একটি দৃষ্টান্ত। এমন দৃষ্টান্ত কোথাও দেখা যায় না। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করেছে, দারিদ্রতা কমিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
আজ সোমবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আজকের থিম ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’।’অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও সভাপতির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি বলেন, ভৌগলিক নিকটতা বাংলাদেশ ও নেপালকে আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দিয়েছে। ৮ এপ্রিল ১৯৭২ সালে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকেই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা মুক্ত বাণিজ্যিক সম্পর্কে আগ্রহী। আমরা আশা করবো, এই ব্যাপারে খুব দ্রুতই চুক্তি হবে। আমরা চাই- সৈয়দপুর বিমানবন্দরের সঙ্গে সরাসরি নেপালের বিরাটনগর বিমানবন্দরের যোগাযোগ চালু হোক।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধুকে সম্মানজনক উপাধিতে ভূষিত করেছিলো।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দুইদিনের সফরে ঢাকায় নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী। আজ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি।
দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিদ্যাদেবী।
এর পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন তিনি। দুই দেশের রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে পর্যটন খাতের উন্নয়ন, সংস্কৃতি বিনিময়, যোগাযোগ ও স্বাস্থ্যসেবা সহযোগিতা বিষয়ক চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।