রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আইন-আদালত

‘বসুরহাটে হচ্ছেটা কী?’


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৮ মার্চ, ২০২১ ৯:০০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলা-মামলার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এ সময় উচ্চ আদালত প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বসুরহাটে হচ্ছেটা কী?’

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান ও সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরীসহ ৯৮ জনকে দেওয়া আগাম জামিন আদেশের শুনানিতে হাইকোর্ট এই মন্তব্য করেন।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই ৯৮ জনকে হত্যাচেষ্টাসহ মোট তিন মামলায় চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দুই ভাগ্নে মাহবুবুর রহমান মঞ্জু ও ফখরুল ইসলাম রাহাত রয়েছেন।

এর আগে ৯৮ জন আসামি হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেন।

এছাড়া হাইকোর্ট একইদিন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী আইয়ুব আলীসহ ৯ জনকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলাউদ্দিন নামের এক সিএনজিচালক নিহত হয়েছেন। নিহত আলাউদ্দিনকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন মিজানুর রহমান বাদল।

সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও ছয় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। এদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। গুলিবিদ্ধ অপর ১২ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ববসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে কাদের মির্জার সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে গত বুধবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানকে প্রধান আসামি করে ৯৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন ছাত্রলীগ নেতা আরিফুর রহমান।

এ মামলায় মিজানুর রহমান বাদলকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে এ মামলায় বাদলকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।

অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুজাক্কির।

এ ঘটনায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর