সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

বইয়ের আনন্দ যন্ত্রে পাওয়া যায় না: প্রধানমন্ত্রী


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৮ মার্চ, ২০২১ ৫:৪০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

বইয়ের আনন্দ যন্ত্রে পাওয়া যায় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস বা যন্ত্রে বই পড়ার সুযোগ থাকলেও ছাপা বই হাতে নিয়ে পড়েই বেশি আনন্দ পাই। বই পড়ার অভ্যাস আমাদের গড়ে তুলতে হবে। বই পড়ার মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য করে তোলা যায়।’

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অমর একুশে বইমেলা-২০২১ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বইমেলা উদ্বোধনের আগে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বাংলা একাডেমি প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বিজয়ী ১০ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন মোবাইল ফোন, ট্যাব— এগুলোর ব্যবহার বেড়েছে। এগুলোতেও কিন্তু বই পড়ার সুযোগ আছে। তাই এসব ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমেও বই পড়তে পারেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমাকে জিজ্ঞাসা করলে বলব-একটি বই হাতে নিয়ে, বইয়ের পাতা উল্টিয়ে উল্টিয়ে পড়ার আনন্দটাই আলাদা। এই আনন্দ যন্ত্রের মধ্যে পাওয়া যায় না। তবে যন্ত্র বহন করতে সুবিধা বেশি। তারপরও বলব, বইয়ের আবেদনটা কিন্তু কোনোদিন মুছে যাবে না।’

সাহিত্যের গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিজের মায়ের ভাষাকে মর্যাদা দেওয়াটা যেমন দরকার, আবার অন্য ভাষাকে জানাও দরকার। বিশ্বসাহিত্য বা ইতিহাস জানতে হলে বেশি করে বিদেশি বইয়ের অনুবাদ করতে হবে। বাংলা একাডেমিকে সবসময় অনুরোধ করেছি, অন্যান্য দেশের সাহিত্য যেন আমরা পড়তে পারি। কারণ সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে অন্যদের জীবনযাত্রা, তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়।’

সাহিত্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাহিত্যের মধ্য দিয়ে দেশ ও মানুষকে চেনা যায়। এমনকি ইতিহাস, অর্থনীতিসহ নানান বিষয়ে জানা যায়। যা অন্য কোনও মাধ্যমে সম্ভব নয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভাষণে অনুবাদ সাহিত্যের গুরুত্বও তুলে ধরেন।’

করোনাকালীন সাড়ে ৭ হাজার শিল্পীকে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘লেখক-প্রকাশকদেরও করোনাকালীন সহযোগিতা করা হয়েছে। এমনকি প্রান্তিক পর্যায়েও কল্যাণ তহবিল থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে।’

করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলায় যাওয়ার অনুরোধও করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ‘টিকা দিয়েই মনে করবেন না সুরক্ষিত হয়ে গেছেন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন অন্যরাও সুরক্ষিত থাকবে।’

এপ্রিলের ১৪ তারিখ পর্যন্ত চলা বই মেলার কার্যক্রম প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর