শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আইন-আদালত

অভিজিৎ হত্যা: মেজর জিয়াসহ পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:৩০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

প্রায় ছয় বছর আগে ঢাকায় বইমেলা চলার সময়ে জঙ্গি হামলায় নিহত বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) পাঁচ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার আগে কাশিমপুর কারাগারে থাকা চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলার বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, আরাফাত রহমান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন শুরু থেকেই পলাতক।

এ ছাড়া উগ্রপন্থি ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবিকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। তিনি কারাগারে আছেন।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। অভিজিৎ ও বন্যা তখন একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফিরছিলেন। সন্ত্রাসীরা অভিজিৎকে কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পরদিন অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই বছরের ৬ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিজিৎ হত্যা মামলায় ২৮ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর