বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল তারা আজ ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৭৯২ সালের এই দিনে আমাদের মহান নেতা তাঁর প্রাণের বাংলাদেশিদের বুকে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু এর তিন বছর পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল।
রোববার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সীমিত পরিসরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলনের পর থেকে বঙ্গবন্ধুকে বারবার কারাবরণ করতে হয়। বঙ্গবন্ধু যেখানেই গেছেন, সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আবার তিনি জামিন পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য কাজ করতেন বলেই শাসকরা বারবার তাকে জেলে পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনার সব নির্দেশনা ছিলো জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণে। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি একটি স্বনির্ভর বাংলা গড়ে তুলেছিলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১০ জানুয়ারি ছিল বাঙালির কাছে বহু কাঙ্ক্ষিত, বহু প্রতীক্ষিত। মহান নেতা বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে নতুন করে উজ্জীবিত হয় জাতি।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ কৃষিক্ষেত্রে স্বনির্ভর। আর এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায়।