ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ‘বিতর্কিত ও বহুল সমালোচিত’ সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী পীর মারা গেছেন।সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৭টার দিকে নিজ বাসায় স্ট্রোক করেন তিনি। পরে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার মরদেহ আরামবাগে নেওয়া হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়ানবাগীর এই পীরকে ভণ্ড ও ইসলামবিরোধী উল্লেখ করে তার নানা বক্তব্যের সমালোচনায় মুখর ছিলেন অনেকেই। ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেওয়ানবাগীর ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য প্রতিরোধ করতে দেশের বিশিষ্ট আলেমদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা করেছিলেন।
দেওয়ানবাগ দরবার শরিফের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যানুযায়ী, দেওয়ানবাগী পীরের নাম মাহবুব-এ খোদা। তবে তিনি ‘দেওয়ানবাগী’ নামে পরিচিত।
১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রশিদ সরদার।
মা সৈয়দা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। নিজ এলাকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।
ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতান আহমেদ চন্দ্রপুরীর হাতে বায়াত গ্রহণ করেন দেওয়ানবাগী পীর। এর পর তার মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন দেওয়ানবাগী। এর সুবাদে শ্বশুরের কাছ থেকে খেলাফত লাভ করেন।
তার কিছু দিন পর নিজেই নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দেওয়ানবাগ নামক স্থানে একটি আস্তানা গড়ে তোলেন এবং নিজেকে সুফি সম্রাট পরিচয় দিতে থাকেন মাহবুব-এ খোদা। আস্তে আস্তে তার অনুসারি বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগে স্থায়ী দরবার গড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেন দেওয়ানবাগী।