ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এ জন্য আমরা আস্বস্ত হই। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব প্রমাণ করব কীভাবে? প্রমাণ কি এভাবে করতে হবে যে ভারতের সব চাহিদা আমরা মেটাব আর আমাদের যে সমস্যা, তার একটাও মিটবে না?’
আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে বিনা বিচারে বাংলাদেশিরা নিহত হচ্ছেন। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫১০ জন এবং ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে প্রতিবেশী দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা করাটা জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদের চরম লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেন তিনি।’
সীমান্ত হত্যা বন্ধে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এসব সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে সরকার কোনো কথা বলবে না, ভারত নীরব থাকবে, চীন উল্টো ভেটো দেবে। আর বলা হবে আমরা খুব চমৎকার পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করছি। ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রের সব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে এ ধরনের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করেছে সরকার।’
৩০ ডিসেম্বর সরকারের দুই বছর পূর্তি হচ্ছে। ২০১৮ সালের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে ওই দিন সারা দেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর সেই কলঙ্কময় কালো দিবসের দ্বিতীয় বছর পূর্ণ হবে। বাংলাদেশের মানুষ এই দিনটিকে ক্ষোভ ও ঘৃণার সঙ্গেই স্মরণ করে।’