আমাদের বাংলাদেশ অজস্র রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। এই স্বাধীনতা, এই বিজয় বহুল কাঙ্খিত, প্রত্যাশিত। আমরা লাখো শহীদের জীবনের নিবেদিত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু সেই লালিত স্বাধীনতার স্বাদ সবার জন্য নিশ্চিত হয়নি। এই না পাওয়া ধীরে ধীরে সবার সয়ে গেলেও একটা গভীর খেদ রয়ে যায়। বছর বছর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয় ঠিকই কিন্তু জনগণের অধিকারের প্রশ্নগুলোর কোনো সুরাহা হয়নি। শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, গৃহহীন ও ছিন্নমূল শিশুতে ভরে গেছে শহরগুলো। কারাগারগুলো বন্দিদের দিয়ে ঠাসা, সংশোধনাগার নির্জনতায় ডুবে আছে। অথচ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তদারকি নেই।
প্রকৃত বিজয় উৎসব হবে সেই দিন, যখন হাসপাতালে রোগীর সেবা নিশ্চিত হবে, পাসপোর্ট ও বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধ হবে, পুলিশের কাছে জনগণ তার অসহায়ত্ব খুলে বলবে এবং থাকা ও খাবারের জন্য কারো দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
এই লক্ষ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কারিগরি প্রশিক্ষণ সেবা চালু করা হোক এবং উদ্যোক্তা বিনির্মাণ নিশ্চিত হোক। সরকারের দায়িত্বে যে রাজনৈতিক দল থাকুক না কেন অবশ্যই অন্য সকল দল ও ভিন্নমতের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ জিরো টলারেন্স এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা হোক। কেবল তখনই এইসব লোক দেখানো উৎসব বাণিজ্যের অবসান হবে।
আমাদের শিক্ষা হোক প্রশিক্ষণ নির্ভর, বাস্তবধর্মী শিক্ষায় সুন্দর জীবন নিশ্চিত হয়। আমরা কেবল বিজয়ের স্মৃতি চিহ্ন চাই না, পরিকল্পনা-বাজেট জনগণ বুঝতে চায় না তারা একটা অধিকার সম্পন্ন জীবন চায়। আমাদের আজীবন প্রার্থনা “আমার সন্তান যেনো থাকে দুধে ভাতে …”
মোটের ওপর সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
লেখক: সহকারী সম্পাদক, রাজনীতি সংবাদ