প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে অনলাইনে চতুর্থ ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে সরে যেতে পারে না উল্লখে করে প্রধানমন্ত্রী পুত্র বলেন, আমরা যে ধর্মেরই হইনা কেনো, আমরা সবাই বাঙ্গালী।
গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষ ও সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই তিন মূলনীতিকে মাথায় রেখে কাজ করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমাদের দেশের কিছু মানুষের একটা স্বভাব আছে, কেন যেন তারা সমস্যা নিয়ে থাকেন। আর শুধু নালিশ করা যে, আমাদের বাংলাদেশে এটা ভালো হচ্ছে না, ওটা ভালো হচ্ছে না, এটা খারাপ হচ্ছে, এখনও পিছিয়ে আছি- এই নালিশ তারা সারাক্ষণ করে যায়। কিন্তু এই তরুণরা নালিশ করছে না। এরা সমস্যা দেখছে এবং নিজেদের চেষ্টায় নিজেদের মেধায় নিজেদের পরিশ্রম দিয়ে সেই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টাও করে যাচ্ছে।
কোভিড-১৯ এর মধ্যে ভার্চুয়ালি এই সভা আয়োজনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি সেই মার্চ মাস থেকে দেশে আসতে পারছি না। কারণ এখানে কোভিডের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো কিছু থেমে নেই। সরকার ভার্চুয়ালি সকল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ১০ বছর আগে কি কেউ কল্পনা করতে পেরেছে বাংলাদেশে এটা সম্ভব। কেউ পারেনি। আমি গর্বিত যে ডিজিটাল বাংলাদেশের এটাই লাভ ও ফলাফল। আজ যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকতো কোভিড-১৯ এ কিন্তু অর্থনীতি শেষ হয়ে যেতো।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, যারা এখানে পুরস্কার পেয়েছেন এবং যারা পুরস্কার পাননি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। কেননা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো, তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আপনারা সেই কাজটি করছেন।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যখন বিভিন্ন উন্নত দেশে মৃত্যু হার অনেক বেশি, সেখানে আমাদের মৃত্যু হার কম। একটি মৃত্যুও অবশ্য কাম্য নয়। তারা তাদের মেধাবী ডাক্তারদের কথা শোনেনি। কিন্তু আমরা শুনেছি।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক ধারা এখনো উন্নতির দিকে রয়েছে জানিয়ে জয় জানান, উন্নত অনেক দেশ বড় অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। কিন্তু নেতৃত্বগুণে আমরা এখনো উন্নতি করছি।
অনুষ্ঠানে দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের ৩০ সংগঠনের হাতে তুলে দেয়া হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে ৩০ সংগঠনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
ডা. নুজহাত চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিআরআই-এর ট্রাস্টি নসরুল হামিদ বিপু। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের হাতে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও ল্যাপটপ পৌঁছে দেয়া হবে। এ ছাড়াও শীর্ষ মনোনয়ন পাওয়া সকল তরুণ সংগঠন পাবে সার্টিফিকেট।
প্রায় তিন লাখ সদস্য, ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৩১৫টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ‘ইয়াং বাংলা’র লক্ষ্য- ‘ভিশন-২০২১’ এ দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনকে বিশ্বে তুলে ধরা।